দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ আয়োজন এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভাবনা-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকালে (৫০/১ পুরানা পল্টন লাইন, দ্বিতীয়তলা) সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এই ভাবনা-বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ওসমান গনি, নির্বাহী পরিচালক মিলনকান্তি নাথ, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, খন্দকার মনিরুল ইসলাম, কামরুল হাসান শায়ক, নাছির আহমেদ সেলিম, মনিরুল হক, নজরুল ইসলাম বাহার, এসএ ভূঁইয়া শিহাব, মোস্তফা সেলিম, আফজাল হোসেন, রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ।

সভার শুরুতে প্রয়াত লেখক-গবেষক, ভাষা-সংগ্রামী, অভিধানকার, রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান-এর স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভাবনা-বিনিময় অনুষ্ঠানে ওসমান গনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রকাশনার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রকাশনাকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব আসরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এই সমিতি। দেশের জেলা শহরের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিটি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঠাগার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছি’।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪-আয়োজন সফলতার জন্য ওসমান গনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকাশকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই’।

অনুষ্ঠানে অন্য প্রকাশকগণ বলেন, ‘বাংলাদেশে বই নিয়ে আমরা একটি সামাজিক বিপ্লব গড়ে তুলতে চাই। তরুণদের হাতে সৃজনশীল বই তুলে দিতে পারলেই দেশে একটি আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে সন্ত্রাস, বোমাবাজ, চাঁদাবাজদের ঠেকাতে বই শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি’।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজন সম্পর্কে প্রকাশকগণ বলেন, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের চেতনা ও সংস্কৃতির একটি অংশ, একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। বাঙালির প্রাণের এই মেলাকে ঘিরে সারাবছর প্রাণান্তকর উন্মাদনায় ব্যপ্ত থাকেন লেখক-প্রকাশকগণ। তবে প্রতিবছর বাড়ছে লেখক, প্রকাশক। প্রতিবছর বাড়ছে নতুন বই। তাই আমরা মনে করি, বইমেলার পরিধি যত দ্রুত সম্ভব বৃদ্ধি করা হোক।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/সা/জানুয়ারি ১২, ২০১৪)