চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : টঙ্গীর তুরাগ তীরে ২৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমা। তাবলীগ জামায়াতের উদ্যোগে দুই পর্বের এ ইজতেমার প্রথম পর্ব ওই দিন শুরু হয়ে শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে। তিন দিনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি।
এ উপলক্ষে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হচ্ছেন তুরাগ তীরে। তবে বিদেশিদের অধিকাংশই অবস্থান নিচ্ছেন কাকরাইল মসজিদে। তাবলীগ জামায়াতের স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছেন ইজতেমা ময়দান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। একইভাবে ইজতেমা মাঠে তাঁবু নির্মাণসহ যাবতীয় প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে।
তাবলীগ জামায়াত সূত্রে জানা যায়, ইজতেমায় লোক সমাগম বৃদ্ধির ফলে ২০১১ সাল থেকে তিন দিন করে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইজতেমায় তাবলীগ জামায়াতের দেশি-বিদেশি বয়োজ্যেষ্ঠ ও অতিথিরা মুসল্লিদের উদ্দেশে ঈমান ও আকিদাসহ ছয় উসুল সম্পর্কে বয়ান করে থাকেন।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার গিয়াস উদ্দিন দ্য রিপোর্টকে জানান, ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতের পর ৪ দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে।
কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের খেদমতে থাকা তাবলীগ জামায়াতের বয়োজ্যেষ্ঠ শাহেদ হাবিবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘গত বছর ২৫ হাজার বিদেশি মুসল্লি ভাই ও বোনেরা ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। এ বছরও বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম ভাই ও বোনেরা আসছেন। এখন পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে আড়াই থেকে তিন হাজার বিদেশি মেহমান এসেছেন। এর মধ্যে দুই শতাধিক মহিলা। যারা তাদের স্বামী বা মাহরামদের সঙ্গে এসেছেন। বিদেশিদের অধিকাংশই আসছেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজাকিস্তান, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে। কানাডা, জার্মানসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো থেকেও বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিচ্ছেন মুসল্লিরা।’
শাহেদ হাবিবুর আরও জানান, বিদেশি এ সব মেহমানদের তাবলীগ জামায়াতের পক্ষ থেকেই মেহমানদারী (থাকা-খাওয়া) করা হচ্ছে।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার জানান, বিআরটিসির পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ৩০০ বাস বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ইজতেমার ১৪ দিন বিআরটিসির বাসগুলো ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পরিবহন করবে।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ইজতেমা চলাকালে যদি ১৮ দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলে তাহলে ঢাকার বাইরে থেকেও মুসল্লিদের বহন করে আনা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ-এসএ/এমএইচও/জেএম/শাহ/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)