ছয় জেলায় ছুটি ও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ছয় জেলার ৩৯২ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি, নৌযানসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ চিঠি সোমবার সকালে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনে ৬ জেলার আট আসনে মঙ্গলবার সকাল থেকে মিছিল-মিটিং-সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে।
১৫ জনিুয়ারি বুধবার রাত ১২টা থেকেই বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল। ৬ জেলার ৮ আসনে ৩৯২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটের আগের দিনই বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করবে ইসি। এ সব এলাকায় সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি। ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হবে। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলাগুলো হলো- দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা বগুড়া, লক্ষ্মীপুর ও যশোর।
নির্বাচনী প্রচারণা নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবার সকাল ৮টার পরে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সব ধরনের মিছিল-মিটিং এর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
যান চলাচল বন্ধ
বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ পর্যন্ত ৬ জেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিশেষ মনিটরিং সেল
স্থগিত কেন্দ্রগুলোয় নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে বিশেষ মনিটরিং সেল। প্রাপ্ত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় ভিজিল্যন্সটিম ও অবজারভেশন টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে এ সব এলাকায় সব ধরনের বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সশস্ত্রবাহিনী ও র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসি সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার, পরিবহনে সহায়তা দেবে। স্ব স্ব বাহিনীর সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগী/হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা, স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার সুবিধাজনক স্থানে রাখবে বিমানবাহিনী। সেনাসদরের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনাসদস্য রিজার্ভ হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ ও পরিবেশন করা হবে। পাশপাশি কমিশন সচিবালয়ে ফলাফল সংগ্রহের জন্য ৮টি টিম কাজ করবে।
তিন স্তরের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে ইসি। নির্বাচনী মাঠে থাকছে প্রায় সাড়ে চার লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তার বাইরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ান ও এপিবিএন সদস্যরা মাঠে সার্বক্ষণিক টহলে নেমেছে। একইসঙ্গে গ্রাম্য পুলিশ, চোকিদার ও দফাদার নিয়োজিত থাকবে। পাশপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এ সবের মধ্যে অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ান গ্রাম্য পুলিশ, চোকিদার ও দফাদার থাকবে প্রায় ১৫ হাজার। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট /এমএস/এনডিএস/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)