দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিনে থাকা জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সোমবার এ দিন ধার্য করেন।

সৈয়দ কায়সারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে শুনানি শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২৬ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন না করার পক্ষে আসামিপক্ষের শুনানি শুরু করেন এবং দুইবার পিছিয়ে সোমবার শুনানি শেষ করা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ কায়সারকে (এসএসসি) পাস ব্যক্তি বলা হয়েছে। যা সঠিক নয়। তিনি এরশাদ সরকারের সময় তিন বারের মতো মন্ত্রী ছিলেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না।’

আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, ‘এর আগে তার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ (কোলাবরেটর অ্যাক্ট) দালাল আইনে বিচার হয়েছিল। তখন তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। একই অপরাধে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুইবার বিচার হতে পারে না।’

পরে ট্রাইব্যুনাল ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি শেষ করেন।

১১ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৮টি অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

১০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের নেতৃত্বে প্রসিকিউশন টিম কায়সারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)