সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ২০০৮ সালে আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। জনগণের রায় নিয়ে আমরা সংবিধান সংশোধন করেছি। সংবিধান সংশোধনের আগে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২৭টি বৈঠক করেছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের মতামত দিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিরও মতামত নেওয়া হয়েছে’।
১৯৭৫ সালের পর একমাত্র ১৯৯৬ সালেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের আমানত যাতে খেয়ানত হতে না হয়, এ জন্যই আমরা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণ যদি উন্নতি চায়, পেট ভরে খেতে চায়, শান্তিতে থাকতে চায়, তাহলে অবশ্যই আমাদের ভোট দেবে। আর যদি হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস চায়, তাহলে আমার কিছু করার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মূলশক্তি নারীদের বিরুদ্ধে ‘তেঁতুলতত্ত্ব’ প্রয়োগ করে তাদের ঘরের ভেতর ঢোকানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ তেঁতুলতত্ত্ব বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি সকলকে সতর্ক করে দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, উনি আমাকে চান না; এটা আমি জানি। উনার পুত্রধন ও কেবিনেট মন্ত্রীসহ অন্যরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কোটালিপাড়ায় আমার সমাবেশে বোমা পুঁতে রেখেছিলেন। চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালে আমার মিছিলে যার নেতৃত্বে গুলি করা হয়েছিল, তাকে পরে প্রমোশন দেওয়া হয়েছিল। উনার জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। এগুলো থেকেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, উনি আমাকে চান না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্প রয়েছে। সেখানে তো অ্যাসিড বৃষ্টি হয় নাই, মানুষ মরে যায় নাই। সেখানকার কৃষকেরা তো উৎপাদন করছে। তাদের তো অসুবিধা হচ্ছে না। তাহলে রামপাল নিয়ে যে হায় হায় রব পড়ে গেছে, সেটা কোন উদ্দেশ্যে?
তিনি বলেন, আমরা জানি, কোথায় কি করতে হবে। সুন্দরবনের ক্ষতি আমরা চাই না।সরকার আরও ছয় হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। যারা রামপালের বিরোধিতা করছেন, তারা বড়পুকুরিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘুরে দেখে আসতে পারেন।
বেগম খালেদা জিয়ার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতা করা প্রসঙ্গে বলেন, উনি শুধু বন্ধ করতে পারেন। চালু করতে পারেন না। আমরা যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছিলাম, ২০০১ সালের পর তারা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন এবং চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
(দিরিপোর্ট২৪ডটকম/ওএসআর/এমএআর/এমডি/অক্টোবর ০৬, ২০১৩)