শেখ জামালের জয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের জয়রথ ছুটছে তো ছুটছেই। সোমবার ফেনী সকার ক্লাবকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ক্লাব কাপ জয়ীরা। টানা ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে শেখ জামাল।
ঢাকার বাইরের দলটির বিপক্ষে সতর্ক ছিল শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছে হলুদ-নীল শিবির। তবে সকারের ৪-৪-২ রক্ষণাত্মক কৌশলের সামনে প্রথম দিকে সুবিধা করতে পারেননি ফেভারিটদের আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। ২৭ মিনিটে প্রথম সফলতা এসেছে তাদের। হাইতির ফরোয়ার্ড ওয়েডসনের কর্নারে বক্সে দাঁড়ানো সুযোগ সন্ধানী ফুটবলার মোবারক হোসেনের হেড জাল কাঁপিয়েছে সকারের। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। কিন্তু এ যাত্রার গোলরক্ষক নেহালের দৃঢ়তায় রক্ষা পেয়েছে সকার।
আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক ম্যান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডার্লিংটনের শট অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে রুখে দিয়েছেন এ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সকারের ডিফেন্ডার আকরামুজ্জামান নিজেদের বক্সে ওয়েডসনকে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছেন রেফারি মিজানুর রহমান। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন ওয়েডসন।
বিরতির পর ৬২ মিনিটে আরেকবার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে জামালের ফুটবলাররা। ওকেমেরির কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ডার্লিংটন। পরে আগুয়ান গোলরক্ষক নেহালকে কাঁটিয়ে ফাকা পোস্টে বল ঠেলে দিয়েছেন শেখ জামালে নাইজেরিয়ান এ ফরোয়ার্ড (৩-০)। ৭০ মিনিটে গোলরক্ষক নেহালের ভুলে চতুর্থ গোলটি হজম করতে হয়েছে সকার ক্লাবকে। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ওকেমেরির দুরপাল্লার শট নেহালের পায়ের কাছে ড্রপ খেয়ে জালে আশ্রয় নিয়েছে (৪-০)। ৮২ মিনিটে আলাউদ্দিনের কর্নার থেকে মতিউর রহমানের ব্যাক হেডে ব্যবধান কিছুটা কমেছে(১-৪)। ম্যাচের শেষ বাশি বাজার আগে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল পরিশোধ করেছেন সকার ক্লাবের মিডফিল্ডার বিদ্যুৎ।
এ জয়ে খুশি শেখ জামালের নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘লিগের আরও অনেক ম্যাচ বাকি। শিরোপা জয় এখনও অনেক দূরের পথ। আপাতত লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ জেতা ও কোন পয়েন্ট নষ্ট না করা। যেখানে অন্য বড় দলগুলো পয়েন্ট নষ্ট করছে, সেখানে জামাল এখনও কোনো পয়েন্ট খোয়াইনি। এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।’
অন্যদিকে সকার ক্লাবের গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসে জানিয়েছেন, ‘ফেডারেশন কাপে জামালের সঙ্গে অনেক ভালো খেলে হেরেছিলাম। কিন্তু লিগে ওদের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলিনি। প্রথমার্ধে আমরা ২টি অপ্রয়োজনীয় গোল হজম করি। মূলত পিছিয়ে পড়ি সেখানেই। ম্যাচের আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়ের। আমি কখনই ড্র করার মানসিকতা নিয়ে দলকে মাঠে নামাই না। এ ম্যাচে হারলেও ছেলেদের খেলায় আমি খুশি।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/আরকে/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)