যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মালোপাড়ায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৪ গ্রামের শতাধিক লোক জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মোহাম্মদ আলী নামে আটক এক ব্যক্তি।

সোমবার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

আটক মোহাম্মদ আলী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কেরামত আলী মোল্লার ছেলে। জবানবন্দিতে সে উল্লেখ করেছে, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাবুদ, মাহফুজ, সাইদুল ও সে সহ ৪ গ্রামের শতাধিক লোক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত। সে আরো জানিয়েছে ৫ জানুয়ারি বিকেলে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মালোপাড়ার সরকার ও অসিমের সঙ্গে মাবুদসহ অন্যদের গোলযোগ হয়। মাবুদ, মাহফুজ, সাইদুল মীমাংসার কথা বলে শতাধিক লোক নিয়ে ওই গ্রামে যায়। খবর পেয়ে আগেই মালোপাড়াবাসীরা পালিয়ে যায়। লোকজন না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মোহাম্মদ আলী মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদ হোসেন মোহাম্মদ আলীর জবানবন্দির কথা স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মালোপাড়ায় হামলা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা ওই পাড়ার ২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ শতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ হামলার ঘটনায় ৩৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনের নামে মামলা করে পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে।


(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এপি/ এনআই/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)