দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সেলিম আল দীনের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ও শুভানুধ্যায়ীরা তাদের স্ব স্ব চিন্তার কথা ব্যক্ত করেছেন।

মঞ্চসারথী আতাউর রহমান বলেন, বাঙালি নাট্যধারার খরস্রোত সেলিম আল দীন রেখে গেছেন যার ধারাবাহিকতা আজও আছে। মানুষকে মানুষ হয়ে ওঠার ব্যাপারে বিশ্ব সংসার থেকে মানবিক উপকরণ আহরণ করে দেশজ আলোকে তার নাটকে উপস্থাপনা করেছেন তিনি। তিনি নিত্য দিনের মানুষ নন; দুরূহ। বোধের চূড়ান্ত চেষ্টায় তাকে চেনে নিতে হবে।

সেলিম আল দীনের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী ও সতীর্থ ঢাকা থিয়েটারের কর্ণধার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, সেলিম আল দীন ইউরোপকে কখনও ঘৃণা করেননি কিন্তু উপনিবেশিক শাসন ও তাদের উগ্র মানসিকতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সাহিত্য সমালোচক মফিদুল হকের ভাষায় তিনি বলেন, সেলিম ভালো নাট্যকার কী না সেটা পরের ব্যাপার তবে সেলিম আলাদা একটা ফিনোমিনা বা প্রপঞ্চ।

সেলিম আল দীনের নাটকের অভিনেত্রী এবং ধাবমান নাটকের নির্দেশক শিমুল ইউসুফ সেলিম আল দীন সম্পর্কে বলেন, অনেকেই বলে থাকেন সেলিম আল দীনের লেখা দুর্ভেদ্য। তার লেখা নাটকের ভাষা ও ভাবনাকে ধারণ করে মনে লালন করতে পারলে সেলিম আল দীন স্পষ্টভাবে ধরা দেবে পাঠক এবং দর্শকের কাছে। আমাদের শিকড়ের যে অনুসন্ধান তিনি করেছেনঁ যাকে হাতের মুঠোয় করে আমরা সামনে চলেছি তাকে জানতে হলে সে বিষয়টাকে অনুধাবন করাও জরুরী।

সেলিম আল দীনের পরম সুহৃদ এস এম মহসীন বলেন, জীবন থাকলে কর্ম থাকে কিন্তু সর্বত্র দর্শন থাকে না। সেলিমের প্রতিটি কাজে দর্শন আছে, আছে বাঙালির চিরায়ত সৌন্দর্য। কোন একটি বিবেচনায় নয়, বহুমাত্রিক বিবেচনায় তাকে বিশ্বাঙ্গনের নাট্যকারে উপস্থাপন করতে হবে।

স্বপ্নদলের দল প্রধান ও সেলিম আল দীনের ভাব শিষ্য জাহিদ রিপন বলেন, উপনিবেশ পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথই প্রথম হাজার বছরের ঐতিহ্যর ধারায় বাঙলার সঠিক নাট্যরীতিসূত্রকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, যা তার সৃষ্টিকর্মে আধুনিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেলিম আল দীনের আমৃত্যু সৃষ্টিশ্রমে বাঙলা নাট্যরীতির দিগন্তবিস্তৃত হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/আরকে/জানুয়ারি ১৪, ২০১৪)