ছিল না হরতাল, ছিল না অবরোধ। এই রকম একটি দিন দিয়েই নতুন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে পথচলা শুরু হয়েছে। প্রমোশনের আমেজে সচিবালয়ও ছিল উৎফুল্ল। শুভেচ্ছা দেওয়া-নেওয়া করে দিনটি কাটিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।

হরতাল-অবরোধ না থাকায় সারাদেশেই ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। অনেকদিন পর রাজধানী ঢাকা মহানগর তার চেনা রূপ ফিরে পায়। স্বস্তির একটা দিন পেলেও যানজটে থেমে থেমে চলে ঢাকা মহানগর। তারপরেও নগরবাসী অনেক খুশি। বিপণিবিতানগুলোতে খদ্দেরের আনা-গোনায় খুশি দোকানিরা। স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পেরে শিক্ষার্থীরাও বেজায় খুশি, সঙ্গে অভিভাবকরাও। অনেক দিন পর নানা রঙের স্কুল-ড্রেসে ছেলে-মেয়েদের দেখে পথচারীদেরও চোখ জুড়িয়েছে। তবে সবচে’ বড় কথা ‍দিনটিতে পেট্রোল বোমায় ঝলসে যাওয়া বা ককটেলের ভয় ছিল না। এ যেন ছিল এক অন্য রকম দিন।

বাংলাদেশের মানুষ এ রকম দিনই বার বার ফিরে পেতে চায়। কিন্তু রাজনীতির যে অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেল তা মীমাংসা না হলে এ স্বস্তি– এ আনন্দ কতক্ষণের?

সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীনরা এবং নির্বাচনকে ‘জনপ্রতিনিধিত্বহীন’ দাবি করে বিরোধী দল নিজ নিজ অর্জনের হিসাব মিলাচ্ছে। এই হিসাব না মিললে সংঘাত আবারও অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। তবে উভয়পক্ষের হাতেই যেহেতু সময় আছে সেহেতু দেশের মানুষের চাওয়ার মূল্য দিয়ে উভয়পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছাবেন এটাই আমাদের কামনা। তাহলেই আগামীর দিনগুলোও অন্যরকম হয়ে উঠবে।