দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রাখতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য স্থগিত হওয়া ছয় জেলার আট সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় ১৭ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। পাশপাশি নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পুলিশ র্ফোস বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনী এলাকায় থাকার সময় বৃদ্ধি করেছে কমিশন। ৮টি আসনের মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ যশোর ও লক্ষ্মীপুর এ দুটি আসন। এ সব আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ সোমবার রাতে সাংবাদিকদেরং বলেন, আমরা পুলিশ ফোর্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে সেনাবাহিনীকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকাতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ বাহিনীকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাখা হবে।

তিনি বলেন, এ ছাড়াও সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হচ্ছে। এমনকি নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের চারদিনের বদলে ৬ দিন রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।

একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে নির্বাচন পরবর্তী আরো দুইদিন বেশী রাখার বিষয়ে কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ছয়টি জেলার ৮ আসনে ৯৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত ৩৯২ কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ১০ হাজার ১২৮টি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে র‌্যাব ৮২ জন, বিজিবি ৪৩ জন, প্রতি ৩টি কেন্দ্রের ১৩২ জন পুলিশ ও প্রতি ১০ কেন্দ্রের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৪৩ জন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য। এ ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে ৩০ জন। ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে যশোর-৫ ও লক্ষ্মীপুর-১ এ দুটি সংসদীয় আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে ষোলজনের বদলে ২০ জন করে পুলিশ সদস্য ভোটের দিন মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-১, ৩ ও ৪ ও বগুড়া-৭ আসনে নির্বাচন হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এসবি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)