‘সরকার অব্যাহতভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নামে সরকার অব্যাহতভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, ৯ম সংসদের মেয়াদ শেষের আগেই আবার সংসদ নির্বাচন করেছে সরকার। এটা মধ্যবর্তী নির্বাচন। তাই এখন সংসদ বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে দশম সংসদ নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে। না হলে ৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আইনী লড়াই করতে উচ্চ আদালতে যাবে বিএনএফ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মঙ্গলবার দুপুরে বিএনএফ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার হুদা এসব কথা বলেন।
নিজেকে আবারও একইসঙ্গে বিএনপি ও বিএনএফের নেতা দাবি করে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমি আগাগোড়ায় বিএনপিতে ছিলাম। বিএনপিতেই আছি।’ তিনি বলেন, ‘ফ্রন্টের মধ্যে রীতিমত ক্যু করে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে আবুল কালাম আজাদ। ফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা তাকে নির্বাচন বর্জনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু দলের সেই নির্দেশ তিনি মানেননি। এখন নির্বাচন কমিশনকেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ ওই লোক দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।’
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফা (ক) উপদফা অনুযায়ী ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তি ৯০ দিনের মধ্যে এবং ১২৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফার (খ) উপদফা অনুযায়ী মেয়াদ অবসান ব্যতিত, অন্যকোনো কারণে, সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।’’ তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘তথাকথিত’ মন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৯ম জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হল এবং দশম সংসদের যাত্রা শুরু হল এটা প্রণিধানযোগ্য। দশম সংসদ নির্বাচনের যে শিডিউল নির্বাচন কমিশন দিয়েছে তা বেআইনী ও বাতিলযোগ্য।
হুদা বলেন, ‘যে ধরণের নির্বাচন হয়েছে, আমি সিওর প্রধানমন্ত্রীও তাতে সন্তুষ্ট না।’ তাই সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও পূনর্গঠন করার দাবি জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এমডি/ জানুয়ারি ১৪, ২০১৪)