প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না : বিশ্বব্যাংক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনী অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি (২০১৩-১৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। সরকারের লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
সংস্থাটি জানায়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আনা গেছে।
গ্লোবাল ইকোনমিক প্রোসপেক্টস নামের এক প্রতিবেদনে বুধবার বাংলাদেশের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, উন্নত অর্থনীতিগুলোর সক্ষমতা বাড়তে থাকায় তা সামনের মাসগুলোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে। তবে দারিদ্র্য কমানোর হারে গতি আনতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে আরও কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, আর্থিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ঘনীভূত হওয়ায় ২০১৩ সালের শেষ দিকে এসে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তা কমে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়া।
দুর্বল জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় রাজস্ব আদায়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এ অঞ্চলে রাজস্ব আদায়ের হার সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম।
পোশাক খাতের বিরাজমান নিরাপত্তা সমস্যার সঙ্গে চলমান সামাজিক অস্থিরতা যোগ হয়ে বাংলাদেশের শিল্প ও রপ্তানি সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১৫ সালে হবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং এর পরের বছর হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এ বছর ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০১৬ সালে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।
জানুয়ারি ও জুনে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এমএআর/আরকে/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)