দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগ এবারের আমন মৌসুমে অতিরিক্ত আরও ১ লাখ মেট্রিকটন চাল কিনতে শুরু করেছে। বাড়তি চাহিদার কারণে খাদ্য মন্ত্রণালয় সোমবার ওই ১ লাখ মেট্রিকটন চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২ লাখ মেট্রিকটন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের চাল কেনা শুরু হয়। ক্রয় অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চাল কেনা সম্ভব হয়েছে ১ লাখ ২১ মেট্রিক টন।

জানা গেছে, দেশে ১৮ হাজার লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিলার রয়েছে। এবার ১৪ হাজার ১শ’ ৫৮ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিলার এই কৃষকদের কাছ থেকে চাউল কিনে সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ পর্যন্ত তারা ২ লাখ ১১ হাজার মেট্রিকটন চাল কিনে সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করেছেন। এবার কেজি প্রতি মিলারদের কাছ থেকে ৩০ টাকা দরে চাল কেনা হচ্ছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক ম. বদরুল হাসান দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিরূপ আবহাওয়া এবং হরতাল অবরোধের কারণে ব্যত্যয় ঘটলেও আশা করা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অভিযানের সফল সমাপ্তি হবে।

কেন ধানের পরিবর্তে চাল কেনা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খাদ্য গুদামগুলোর ধারণক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট শুষ্কতায় মজুদ করার বিষয়কে সুবিধাজনক বিবেচনায় এনে চাল কেনা হচ্ছে।

পরিচালক বদরুল হাসান আরও বলেন, দেশে ১ হাজার ও ৫শ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম রয়েছে। এ সব গুদামে ধানের চেয়ে চাল বেশি পরিমাণে মজুদ করা যায়। ৫শ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার একটি গুদামে যেখানে সাড়ে ৪শ মেট্রিকটন ধান মজুদ করা যায়, সেখানে চাউল মজুদ হয় সাড়ে ৭শ মেট্রিকটন। তাই বাড়তি ঝামেলা এড়াতে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি চাল কেনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনও পুরো মালামাল পাওয়া যায়নি। শতকরা ২ ভাগ হারে কমিশন নেওয়ার ভিত্তিতে স্বেচ্ছাশ্রমে মিলাররা চাউল সরবাহের দায়িত্ব পালন করে থাকে। কোনো মিলার চুক্তিভঙ্গ করলে দুই ধরনের শাস্তি হতে পারে। প্রথমত তার জামানতের টাকা কেটে নেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত তাকে ২ বছরের জন্য ধান-চাউল সরবরাহের কাজ থেকে বিরত রাখা হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/আরকে/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)