ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ১ জন নিহত ও ৪ জন পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত ইলিয়াস মাতুব্বরের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার মাঝিকান্দা গ্রামে।

এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার হামের্দী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়েজুর রহমান ও স্থানীয় ওয়াহেদুজ্জামান অহিদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছিল। এই নির্বাচন চলাকালে দুই প্রার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

পুলিশের উপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরো বেড়ে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪/৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এতে এক পক্ষের সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সার্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি করে।

পুলিশের গুলিতে ওয়াহেদুজ্জামান অহিদের সমর্থক ইলিয়াস মাতুব্বর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরা হচ্ছে শামীম এবং এস্কেন্দার মাতুব্বর। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ইলিয়াসের বড় ভাই সেকেন্দার মাতুব্বর জানায়, পুলিশ তাদের উপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে। পুরো সংঘর্ষ চলাকালে ৪ জন পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। আহতদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে উত্তেজিত জনতা ভাঙ্গা থানা ঘেড়াও করে রেখেছে। এ দিকে ফরিদপুর থেকে সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান ভাঙ্গা থানায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য উপস্থিত হয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এসএইচ/এপি/ এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)