দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হরতাল-অবরোধ আর সহিংসতার মধ্যেও বেড়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়। এর মাধ্যমে এ খাতের রফতানি আয় কমে যাওয়ার সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে শুধু ওভেন খাতেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশেরও বেশি। আর নিটওয়্যারে হয়েছে ১০ দশমিক ০২ শতাংশ। বুধবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মোট রফতানি আয় হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কৌশলগত রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি। আর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। ২০১২-১৩ অর্থবছরের একই সময়ে এ রফতানির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৬ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর মোট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাসেই ১৪ হাজার ৬৮৫ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে, যা মোট রফতানি লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

ইপিবির প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধের পরও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের রফতানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের সব খাতেই প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। এ সময়ে ওভেন গার্মেন্টসে ৫ হাজার ৮৭২ দশমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। আর মূল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে, এ সময়ে ৫ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিটওয়্যার পণ্য রফতানি করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ০২ শতাংশ বেশি। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।

এভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি, পাদুকা, চামড়া, চামড়াজাতপণ্য, কৃষিজাত পণ্য, বাইসাইকেল, পেপার অ্যান্ড পেপার প্রোডাক্ট, সিরামিক, রাবার, কার্পেট, টুপি ও হস্তচালিত শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ইপিবির রিপোর্ট দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হিমায়িত খাদ্যে ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ, চিংড়িতে ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, চামড়াতে ৪৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, পাদুকাতে ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্যে ২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্যে ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বাইসাইকেলে ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, পেপার অ্যান্ড পেপার প্রোডাক্টে ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, কার্পেটে ৪৫ দশমিক ০৪ শতাংশ, টুপিতে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, হস্তশিল্পজাত পণ্যে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, চা শিল্পের রফতানিতে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়াও পাট ও পাটজাতপণ্যেও রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

(দ্য রিপোর্ট/এআই/ডব্লিউএন/এনআই/শাহ/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)