দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বলে জানিয়েছে দেশটির নারীদের একটি দল। ২০১০ সালে নামমাত্র বেসামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরও তারা এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছে ওই সংস্থাটি। খবর বিবিসির।

দ্য ওমেন’স লিগ অব বার্মা জানায়, তাদের কাছে একশ’য়েরও বেশি ধর্ষণের ঘটনার নথি আছ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুরাও এ বর্বর আচরণের শিকার হয়েছে।

যেখানে সেনাবাহিনী উপজাতীয় দলগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে রত সে অঞ্চলগুলোতে বেশিরভাগ ধর্ষণ সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এ অভিযোগের ব্যাপারে দেশটির সরকার বলেছে, ধর্ষণ সেনাবাহিনীর পদ্ধতি নয়, তবে এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

সীমান্ত সংলগ্ন কোচিন ও উত্তর শান রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

ধর্ষণের ঘটনাগুলোর প্রায় অর্ধেকই ছিল গ্যাং-রেপ। এ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার ২৮ নারীকে হত্যা করা হয়েছে বা মুমূর্ষু অবস্থায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উপজাতীয় দলগুলোকে ধ্বংস করতে ও মনোবল ভেঙ্গে দিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যৌন সহিংসতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’

তবে দেশটির প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে না। তবে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ২০১০ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরাসরি সেনা শাসনের পরিবর্তে সেনা সমর্থিত বেসরকারি সরকার ব্যবস্থা চালু করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসকে/আরকে/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)