ময়মনসিংহে দুই অপহরণকারী গ্রেফতার
তালাবদ্ধ ট্রাঙ্ক থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার (ভিডিও)
ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : তালাবদ্ধ ট্রাঙ্কে হাত-পা বাঁধা, মুখে স্কসটেপ লাগানো অবস্থায় তিনঘণ্টা ট্রাঙ্কবন্দি থাকার পরও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেন অপহৃত এক স্কুলছাত্রী।
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে বুধবার বিকেলে শেরপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় শম্ভুগঞ্জ চায়নামোড়ে গ্যারেজকর্মীদের বিচক্ষণতায় উদ্ধার পায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী ডলি।
জানা গেছে, প্রেমে সাড়া না পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে দিনদুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অপহরণের পর ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কসটেপ লাগিয়ে একটি ট্রাঙ্কের ভেতর তালাবদ্ধ করে বাসে তুলে নিয়ে যাবার সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ময়মনসিংহ শহরতলীর শম্ভুগঞ্জ চায়নামোড়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে অপহরণকারী মনির হোসেন (১৬) ও মোর্শেদ আলম (১৪)। এরা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার হলদিবাটা গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে। এক সময় দুজনই ভালুকা শিল্পাঞ্চলের বাদশা স্পিনিং মিলের কর্মচারি ছিল।
জানা যায়, স্কুলছাত্রী ডলি ও তার পিতা-মাতা বাসায় না থাকায় সুযোগ বুঝে অপহরণকারী মনির হোসেন ও মোর্শেদ আলম ওই বাসায় ঢুকে কাজের মেয়ে বিলকিসকে (৪০) বেঁধে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখে। বিকেলে স্কুল ছুটির পর ডলি বাসায় গেলে অপহরণকারীরা তার মুখ চেপে ধরে এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর স্কসটেপ লাগিয়ে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে সীডস্টোর বাজার থেকে কেনা একটি নতুন ট্রাঙ্কের ভেতর ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে। শেরপুরগামী ড্রীমল্যান্ড পরিবহনের একটি বাসের বক্সে তুলে অপহরণকারী দুজনই একই বাসে ওঠে। বাসটি বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ময়মনসিংহ শহরতলীর শম্ভুগঞ্জ চায়নামোড়ে পৌঁছলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং ত্রুটি সারাতে একটি গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় গ্যারেজকর্মীরা বাসের বক্সে ঝাঁকুনির শব্দ শুনতে পেয়ে হেলপারকে বিষয়টি জানালে হেলপার বক্সটি খুলতেই ট্রাঙ্কটি নড়তে দেখে। পরে যাত্রীরা ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে তার ভেতর থেকে জীবিত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং দুই সহোদর অপহরণকারীকে আটক করে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে অপহৃত স্কুলছাত্রী ও দুই অপহরণকারীকে থানায় নিয়ে আসে।
(দ্য রিপোর্ট/এআর/এপি/ এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)