যশোর সংবাদদাতা : যশোরের মনিরামপুর আসনের স্থগিত ৬০টি কেন্দ্রে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শোনা যায়নি।

যশোর থেকে সাংবাদিকদের একটি বিশাল বহর মনিরামপুরের স্থগিত ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করছে।

বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোটাররা প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী ভোট।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মনিরামপুরের ভোজগাতি, চিনেটোলা, নেহালপুর, পাঁচাকড়ি প্রভৃতি কেন্দ্রে সরেজমিনে নারী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। পুরুষদের লাইনে ভোটার সংখ্যা খুবই কম।

পাঁচাকড়ি প্রাইমারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে কথা হয় প্রিসাইডিং অফিসার তপন দাসের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৮। এর মধ্যে ভোট কাস্ট হয়েছে সাড়ে সাতশ’র মতো। লাইনে আরও দুই শতাধিক নারী ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

প্রিসাইডিং অফিসার জানান, তিনি এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে কখনই দেখেননি। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদ বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ভোটাররা স্বাধীনভাবেই ভোটকেন্দ্রে আসছেন। নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শোনা যায়নি।

নৌকা মার্কার প্রার্থী খান টিপু সুলতান বলেন, ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ভোটাররা কেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আসছেন। যারা ভোটের বিরোধিতা করেছেন, তারাও আসছেন ভোট দিতে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোট ৭০ শতাংশের উপরে পড়বে।

তবে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটারদের প্রতি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কলস মার্কার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে তার অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতা, ভোটকেন্দ্র ভাংচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে যশোর-৫ আসনের ৬০টি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করে প্রশাসন।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এএস/এএল/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)