এইমওয়ের ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ
চরমোনাই পীরের ছেলেসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবৈধ এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) ব্যবসা পরিচালনা করে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চরমোনাই পীরের (প্রথম পীর মৃত মওলানা ইসহাক) ছেলেসহ এইমওয়ে করপোরেশনের পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২০।
মামলার আসামিরা হলেন- এইমওয়ে করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি চরমোনাই পীর সাহেবের ছেলে সাইয়্যেদ রিদওয়ান বিন ইসহাক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, এইমওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, এইমওয়ের পরিচালক (অর্থ) ও আলোর দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের যুগ্ম-সম্পাদক মো. মশিউর রহমান ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএম সালাউদ্দিন।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সমবায় সমিতি আইন-২০১১, সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪ ও সোসাইটির অনুমোদিত উপ-আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছেন। প্রতারণামূলক এমএলএম পদ্ধতি ব্যবহার করে কমিশনের ভিত্তিতে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভের প্রলোভনে আলোর দিশারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের প্রায় ৪০ হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারীর অর্থ স্থানান্তর করেছেন। এতে আসামিরা প্রায় ৯ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৯ টাকা স্থানান্তরপূর্বক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এ ছাড়া প্রচলিত ও অনুমোদিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ব্যবসা করার আড়ালে এমএলএম পদ্ধতিতে ব্যবসা করে নিজেরা অধিকহারে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে কথিত হারবাল পণ্য বিপণন করে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্র্যাক ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় জমা এবং পরবর্তী সময়ে তা নিজেদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অভিযুক্তরা এ কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে আসামিরা আরও ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/শাহ/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)