দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে শনিবার তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গ্রামীণফোন-চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা’ ২০১৪। চ্যানেল আই ভবনে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

মেলায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় প্রকৃতি বিষয়ক গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গম্ভীরা, যাত্রাপালা, ক্যারেক্টার শো, মুকাভিনয়, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, নৃত্য পরিবেশনা, সম্মাননা প্রদান ছাড়াও থাকছে অনেক আয়োজন।

মেলার দিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানমালা চলবে। সারা দিনজুড়েই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে দেশের পরিবেশবিদগণের মূল্যবান মতামত প্রচার হবে। পুরো আয়োজনটি চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ ছাড়া ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে মেলা উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হবে। এ দিন দেশব্যাপী র‌্যালি বের হবে।

সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেল আই-এর পরিচালক এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ঢাকা ছাড়াও দেশের ২০টি জেলায় এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া এ মাস থেকে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতি মাসে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। যার প্রথম সংখ্যা প্রকাশ পাবে ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মেলার দিন।

গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস তাহমীদ আজিজুল হক বলেন, গ্রামীণফোন প্রকৃতি রক্ষা ও সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমাদের এ সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

নিসর্গী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা বলেন, প্রকৃতি রক্ষা, বন্যপ্রাণী ও নদনদী সংরক্ষণে সরকার ও রাজনীতিকদের আরও জোর ভূমিকা রাখতে হবে।

এ সময় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বিষদ ভূমিকা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথিতযশা পরিবেশবিদগণ।

আয়োজকরা জানান, মানুষের নানামুখী কর্মকাণ্ডে সারা পৃথিবীজুড়েই প্রকৃতির উপর ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশে এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করেছে। শ্যামল বাংলার প্রকৃতি এখন অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে দেশের নদ-নদী, বন্যপ্রাণী, উদ্ভিদসহ প্রকৃতির প্রায় সব উপাদান, সেই সাথে বিপন্ন মানুষের জীবন। এই প্রেক্ষিতে প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই। প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি ও সবার মাঝে প্রকৃতি বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি করাই ভিন্নধর্মী এই মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/কেএম/আরকে/জানুয়ারি ১৬,২০১৪)