‘প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক আবু সাঈদ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (সাবেক) শামসুল হক টুকুর লোকজন ভোট ডাকাতি ও কারচুপি করেছে এমন অভিযোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আবু সাঈদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে শামসুল হক টুকুর লোকজন ভোট ডাকাতি ও কারচুপি করেছে। তথ্য প্রমাণসহ নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ব্যবস্থা নিতে অপরাগতা দেখিয়েছেন তারা।
এ জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে রিজাইন (ইস্তফা) দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে যাব।’
নির্বাচনের দিনই অধ্যাপক আবু সাঈদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেছিলেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি পাবনা-১ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যারা ভোট ডাকাতি করেছে, কারচুপি করেছে গণতদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সাবেক এ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখনও দ্বৈত সংসদ বলবৎ রয়েছে। শপথ হলো অথচ ৯ম সংসদ বাতিল হয়েছে কিনা তার প্রকাশ্য ঘোষণা নেই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন অঙ্গীকারে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনে গিয়ে দেখলাম কমিশনের নির্দেশ সিভিল, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা মানছেন না।
আবু সাঈদ বলেন, ‘যারা ভোট ডাকাতি করে, কারচুপি করে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজেদের ‘গেজেটেড’ করেছে তারা কি জনগণের অভিপ্রায় অনুসারে নির্বাচিত প্রতিনিধি? তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনের সব আচরণ বিধি ভেঙ্গে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে ভোট ডাকাতি ও কারচুপি করে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছে। এ ধরনের সংসদ সদস্যদের জাতীয় সংসদ থেকে বহিষ্কার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিজেকে স্ব-ঘোষিত সংস্কারপন্থি আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করে আবু সাঈদ বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়াও সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সাংবিধাকি শক্তির প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ভিত্তির উপর স্থাপন করা এবং তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করা। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি অবিলম্বে নির্বাচনী সংস্কার কমিটি গঠনেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ সম্বলিত একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আবু সাঈদের নির্বাচনী এলাকার বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)