দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অটোমেশনের আওতায় আনার কাজ। ২০১৩ সালের মধ্যে ওই অটোমেশনের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, অটোমেশনের কাজ শেষ করতে পারলে দেশে রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে বলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর’র সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট শফিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কাজ এগিয়ে চলছে। এ জন্য সব ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এনবিআর ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে এনবিআর’র চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সঙ্গে আলোচনা হয়। পরে এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ দেওয়া হয়।

এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির আয়কর, মূসক ও শুল্ক সংক্রান্ত কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও আয়কর বিভাগে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মূসকের কাজ বেশি এগিয়ে রয়েছে। টেন্ডার বাস্তবায়ন হয়ে গেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

এদিকে ঢাকার কমলাপুর শুল্ক অফিস ও ঢাকা কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের কাজ আংশিকভাবে শেষ হয়েছে। সেখানে রফতানি প্রক্রিয়াও আংশিকভাবে চলছে। বাকিগুলোর কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শুরুর দিকে এনবিআরকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশের সব স্থল, নৌ ও সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে ডেটাবেজের মাধ্যমে এনবিআর’র তথ্য আদান-প্রদানের জন্য অটোমেশন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বিভাগেও অটোমেশনের কাজ হাতে নেওয়া হয়। গত বছরে চট্টগ্রাম শুল্ক ভবনে ই-পেমেন্ট প্রক্রিয়া চালু হয়। এর আগে ২০০৮ সালে ওই শুল্ক ভবনের শুল্কায়ন প্রক্রিয়াকে অটোমেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএস/এসবি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)