যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় দুই হিন্দু গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মফিজ গাজী নামে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভোট দানকারীদের শায়েস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমীরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আটক মফিজ গাজী মণিরামপুর উপজেলার ভোমরাদাহ গ্রামের মনিরুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তম ও শিহাব নামে আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ১২ জন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন মফিজ।

মফিজ গাজী জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, হরিদাশকাটি ইউনিয়নের হাজরাইল ঋষীপাড়ার বাসিন্দাদের ভোট দিতে নিষেধ করেছিল হাজরাইল গ্রামের সোহরাব ও তার সহযোগীরা। তারপরও গত ৫ জানুয়ারি ওই দুই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা ভোট দেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় ঢাকুরিয়া বাজারে বসে সোহরাব ও সাইফুল তাদের শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। এরপর মফিজ গাজী, উত্তম, শিহাব, তবিদুল, ইখলাছসহ ১২ জন ৮ জানুয়ারি রাতে ঋষীপাড়ায় যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।

এ ঘটনায় নির্যাতিতরা বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশি হেফাজতে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ডিবি পুলিশকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ডিবি এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএম/এসকে/ এনআই/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)