নিজামীর দুটি আবেদন খারিজ
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে করা দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার চেম্বারে বসে আবেদন দুটি খারিজ করে দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নিজামীর পক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউশনের ১১তম সাক্ষী শামসুল হক নান্নুকে পুনরায় জেরা (রিকল) করা এবং ইউটিউবে প্রকাশিত ও সংবাদ সম্মেলনে নান্নুর বক্তব্য যাচাইকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটারকে সাক্ষী হিসেবে সমন জারির আবেদন করেন।
তাজুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার আমরা দুটি আবেদন করেছিলাম ট্রাইব্যুনাল। আবেদন দুটি না শুনানি করে চেম্বারে বসেই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।’
তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেলন করে নান্নু যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একই ব্যক্তির। এই দুই বক্তব্য যাচাই করে রিপোর্ট করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন সার্ভিসের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার। রিপোর্টে তিনি বলেছেন, ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য এবং সংবাদ সম্মেল রাখা বক্তব্য একই ব্যক্তির। তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জন পি স্লেটার ফ্রিকোন্সি যাচাই করে দেখেছেন, ইউটিউবে প্রকাশিত নান্নুর বক্তব্য ৯৯ ভাগ সত্য। অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ৯৯ ভাগই মিথ্যা।’
উল্লেখ্য, নিজামীর বিরুদ্ধে সরকার ও প্রসিকিউশন জোরপূর্বক সাক্ষ্য নিয়েছে বলে বিদেশি পত্রিকা দ্যা টেলিগ্রাফ ও ইউটিউবে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে ২২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন সাক্ষী শামসুল হক নান্নু।
ওইদিন তিনি বলেন, ‘আমাকে জাড়িয়ে বিদেশি পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউটিউবে প্রকাশিত বক্তব্য আমার নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন সংকটময়। হীন উদ্দেশে আমার সম্পর্কে এ সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল কাদের মোল্লা’ শীর্ষক এক সংবাদে আন্তর্জাতিক লবিস্ট মি. টবি ক্যাডম্যানের বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক নান্নুর বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে নান্নুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এ মামলায় সরকারপক্ষ ৪/৫ জন সাক্ষীর একটা সিন্ডিকেট তৈরি করলো। আমি সেই সাক্ষীদের একজন। আমাদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো। সরকার আমাকে ৪/৫টা মামলার প্রধান আসামি করে জোর করে সাক্ষ্য নেয়।
(দিরিপোর্ট২৪/এইপি/এমএআর/এমডি/অক্টোবর ৩০, ২০১৩)