কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য
সুচিত্রার মৃত্যুর পরও চূড়ান্ত গোপনীয়তা
কলকাতা প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৩৫ বছর অন্তরালে ছিলেন সুচিত্রা। মৃত্যুর পর অন্তত একবার তাকে দেখার জন্য উন্মুখ আপামর বাঙালি। সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কি না সে বিষয়ও পরিষ্কার হলো না। শুক্রবার সকালে মৃত্যুর পরও তার সম্মান রক্ষায় অনড় রইল বেলভিউ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
নার্সিংহোমের তরফ থেকে এ দিন সকালে মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়নি। মুখ খোলেনি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে। মৃত্যুর খবর নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম ঘোষণা করলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জীবনাবসানের খবর।
গোপনীয়তা রক্ষা করা হলো পরিবারের তরফ থেকেও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুধুমাত্র মায়ের তরফ থেকে প্রণাম জানালেন মেয়ে মুনমুন সেন। শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ক্ষেত্রেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন তিনি।
দীর্ঘ ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জীবনের ইতি টানলেন এই কিংবদন্তি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে দুপুরে সুচিত্রা সেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷ চন্দনকাঠে তাকে পোড়ানো হবে৷ তার জন্য সকাল থেকেই কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে ইতোমধ্যেই সাজানো হয়েছে কাঠের চুল্লি৷ কেওড়াতলা শ্মশানের সি আর গ্রাউন্ডে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷
কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে কেওড়াতলা শ্মশানে৷ পুরো চত্বর পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷
‘গান স্যালুটে’ সুচিত্রা সেনকে চিরবিদায় জানাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই সকাল সকাল হাসপাতাল পৌছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, যেহেতু তিনি শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন এবং অন্তরালে থাকতে বেশি পছন্দ করতেন, সেহেতু তার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানানো হবে। পাশাপাশি, পরিবারের ইচ্ছানুসারে কেওড়াতলা মহাশ্মানে চন্দনকাঠ দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এমএআর/এএল/জানুয়ারি ১৭, ২০১৪)