কলকাতা প্রতিনিধি, দ্য রিপোর্ট : অভিনেতা প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিব থেকে শুরু করে অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণা, কোয়েল মল্লিকসহ সবারই আগ্রহ ছিল সুচিত্রাকে নিয়ে। দেখার বাসনা ছিল অদম্য। জানার আগ্রহ ছিল ৫০-৬০ এর দশকে দাপিয়ে বেড়ানো লাস্যময়ী হারানো সুরের নায়িকা ৭০ কিংবা ৮০ বছর বয়সে কেমন দেখতে।

দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া নায়িকা প্রমাণ করছেন তিনি পুরস্কারে লালায়িত নন। ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে গেলে অন্তরালের পর্দা সরে যাবে। পাবনার মেয়েটি যে আধ্যাত্মে তন্ময়ী হয়েছেন।

অন্তরাল রহস্যের দুর্বল কারণ এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু চিত্রসাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায় আর চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র। এক সাক্ষাৎকারে তারা বলেন, মহানায়িকার অন্তরাল রহস্য নিয়ে নানা রটনা আছে। তবে ছয় বছরের চিকিৎসাকালীন সময় সর্ম্পকে ডাক্তার সুব্রত মৈত্র জানতে পেরেছেন, গভীর আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন মহানায়িকা। তিনি রামকৃষ্ণের পরমভক্ত ছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে বেলুড় মঠে যেতে চাইতেন কিন্তু শারীরিক কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠত না।

মহানায়িকার বন্ধু চিত্রসাংবাদিক গোপাল কৃষ্ণ রায় এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বহুবার প্রশ্ন করেছিলেন মহানায়িকাকে- অন্তরালের রহস্য কী? সুচিত্রার উত্তরে গোপাল বাবুর মন ভরেনি ঠিকই। তবে এক দিন এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, শেষ ছবি প্রণয় করার পর মনে হয়েছিল যে তিনি আর দিতে পারছেন না।

দীর্ঘ মানসিক অবসাদে ভোগার পর বেলুড় মঠে মহারাজের পায়ের কাছে বসে উপায় জানতে চেয়েছিলেন। তখন মহারাজ বলেছিলেন, লোভ করো না।

এরপর বহু পরিচালক-প্রযোজকরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে গেছেন তার কাছে। মহানায়িকা মন দিয়ে স্ক্রিপ্ট পড়ে পছন্দ না হওয়ায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন আধ্যাত্মিকতায় তন্ময় হবেন। সেই থেকে তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এমসি/শাহ/জানুয়ারি ১৭, ২০১৪)