দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শীতে অনেক সময় হতাশা ও বিষণ্ণতা কাজ করে। ঠাণ্ডার দিন মানেই ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার, ব্রিজের কিনার দিয়ে হেঁটে বেড়ানো সঙ্গে রোমান্টিক আবহাওয়া! কিন্তু অনেকের মধ্যেই এর বিপরীত মানসিক অবস্থা দেখা যায়। যাকে বলা হয় সিজনাল ইফেক্টিভ ডিসর্ডার (স্যাড)। যাকে শীতকালীন বিষণ্ণতাও বলা হয়।

সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এই ‘স্যাডের’ মাত্রা যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে শীতের পুরো সময়টা জুড়েই আপনার দিনের সব কাজে তার প্রভাব থাকবে

কারণসমূহ ও প্রভাব

শীতকালে সূর্যের মুখ কম দেখা যায় আবার কোনো কোনো দিন দেখাই যায় না। সূর্যের আলো কম থাকার কারণে মস্তিষ্ক অধিক কাজ করে ফলে অতিরিক্ত মেলাটনিন হরমোন তৈরি হয় মস্তিষ্কে, যার কারণে ডিপ্রেশন বাড়ে। সূর্যরশ্মি শরীরের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ঠিক বিপরীতভাবেই সূর্যের তাপ কম থাকলে শরীরের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।

শীতকালীন বিষণ্নতা বা স্যাড যে কোনো বয়সী নারী-পুরুষকে আক্রান্ত করতে পারে। মানসিকভাবে অসুস্থ কিংবা জেনেটিক ডিপ্রেশনের রোগীদের জন্য শীতের এই বিষণ্নতা দুর্ভোগে ফেলতে পারে। আবার যাদের প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে হয় তাদের জন্য এটি বেশ সমস্যার কারণ হতে পারে।

আলো চিকিৎসা

মানসিক ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে সব সময় অ্যান্টিডিপ্রেশন ওষুধ দেওয়া হয় কিন্তু এক্ষেত্রে লাইট থেরাপি বেশ কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। এই চিকিৎসায় আলোর উৎস হিসেবে এমন একটি ল্যাম্প ব্যাবহার করা হয় যার আলোক শক্তি আসে সূর্য থেকে। এক গবেষণায় দেখা যায় এই কৃত্রিম সূর্যের আলো ২,৫০০ থেকে ১০,০০০ দিপনমাত্রার আলো দিতে পারে, যা আপনাকে কাজ করার শক্তি জোগাবে ও মনকে আনন্দ দেবে। লাইট থেরাপির সবচেয়ে উপযোগী সময় সকাল।

কার্যকরী কিছু টিপস

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে ব্যায়াম, ইয়োগা ও ছন্দময় দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সময়মতো খাবার গ্রহণ ও শখের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। এতে মানসিক অবসাদ কমতে পারে।

ভিটামিন ‘সি’ শীতকালীন বিষণ্নতাকে হঠাতে পারে। এক রিপোর্টে জানা যায়, ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার মনকে আনন্দ দিতে সক্ষম। ভিটামিন ‘সি’ ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএম/শাহ/জানুয়ারি ১৮, ২০১৪)