দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ব্যাক পেইনের কারণ ও উপসর্গ নানা রকম হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে মচকে যাওয়া আবার কারও ক্ষেত্রে আকস্মিক আঘাত ব্যাক পেইনের কারণ। আথ্রাইটিস ও স্পাইনাল স্টেনোসিসের মতো রোগ ব্যাক পেইনের কারণ হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গের বেসামাল ব্যবহারের কারণে ব্যাক পেইন হয়। ব্যাক পেইনের কারণে ভোঁতা ধরনের স্থায়ী ব্যথা থেকে শুরু করে হঠাৎ গুরুতর ব্যথা দেখা দিতে পারে।

ব্যথা দূর করতে সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে পরিমিত ব্যায়াম ও ঘুম ব্যাক পেইনের নিরাময় দিতে পারে। তবে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ব্যায়াম : ব্যাক পেইন থেকে উপশম পাওয়ার ভালো উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। হাঁটার মতো সাধারণ দৈনন্দিন কাজ ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বেশিক্ষণ বসার কারণে অঙ্গবিন্যাসের সমস্যার কারণে ব্যথা হয়। হাঁটার কারণে শরীর ভারসাম্য লাভ করে।

শরীরের স্থিতিস্থাপকতা : মাঝে মাঝে শরীর ছেড়ে দিন। এতে শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। ব্যায়াম, অন্যান্য শরীরিক পরিশ্রম ও ঘুমানোর আগে শরীর কিছু সময়ের জন্য টানটান করে রাখুন। এটি উপকার দেবে।

ঘুম : সবসময় শক্ত পৃষ্ঠের উপর ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নরম তোষক বা ফোম ব্যবহারে পিঠের ভারসাম্য বজায় থাকে না। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় মেরুদণ্ডের ভারসাম্য রক্ষা করে একপাশে কাত হয়ে ঘুমান।

ওজন ঠিক রাখুন : ব্যাক পেইনমুক্ত থাকতে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিন। ফলমূল ও সবজির মতো সুষম খাবার খান। ওজন বাড়িয়ে তোলে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। ওজন কম হলে পিঠের ওপর চাপও কম পড়ে।

ধূমপানকে না বলুন : ধূমপান শুধু হৃদপিণ্ডের ক্ষতিই করে না, ব্যাক পেইনেরও কারণ হতে পারে। ধূমপানের কারণে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে রক্তস্রোত কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে অধূমপায়ীর চেয়ে ধূমপায়ীদের ব্যাক পেইনের হার বেশি।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/এনআই/জানুয়ারি ১৮, ২০১৪)