দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকার রাষ্ট্রশক্তিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে এর ফল কখনও শুভ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের এই ঘৃণ্য পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শনিবার রাতে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে কুপিয়ে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে যৌথ বাহিনী পঞ্চগড় জেলা থেকে রাব্বানীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের বিষয় আজ তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ সদর উপজেলায় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না।’

এ ছাড়া কয়েকদিন আগে একই ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা আতিকুল ইসলাম আতিক ও সোহেলকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের সন্ধান মেলেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সরকার যৌথ বাহিনীকে দিয়ে প্রতিদিন এভাবে সারা দেশে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করছে এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য, বিরোধীদলকে স্তব্ধ করার জন্য সরকার গুম, খুন, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বিরোধীদলের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখা যাবে না।’

দেশের জনসাধারণ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতা, গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এসকে/জানুয়ারি ১৮, ২০১৪)