উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর করবে আ.লীগ
আমানউল্লাহ আমান, দ্য রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের তৃণমূল ঢেলে সাজাতে এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর শুরু করবে দলটি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির শনিবারের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করতেও তাগিদ দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার রাতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় দলের তৃণমূল ঢেলে সাজাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিদের্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে সরকারের মন্ত্রিসভায় দলের দায়িত্বশীল নেতাদের আধিক্য থাকায় দল ও সরকার একাকার হয়ে গিয়েছিল। এবার দল ও সরকার একাকার হতে দেইনি। দলের নেতারা যাতে সংগঠনের জন্য কাজ করতে পারেন সে জন্য তাদেরকে ফ্রি রাখা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর শুরু করার জন্য উপস্থিত নেতাদের নির্দেশ দেন। আর এ কাজের জন্য টিম গঠন করতে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেন।
বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি-মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে আমরা একক প্রার্থী দেখতে চাই। কোনও দলীয় কোন্দল দেখতে চাই না।
উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সভায় দু-একজন নেতা দ্রুত সময়ে নির্বাচন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এর বিপরীতে পাল্টা প্রস্তাবও উপস্থাপন করেন কয়েকজন।
এ সময় শেখ হাসিনা স্পষ্ট কোনও মন্তব্য না করে বলেন, ‘কাউকে দুর্বল ভাবা ঠিক না। দলের প্রার্থীদের জেতাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
তবে সভায় উপস্থিত কয়েকজন নেতা জানান, দ্রুত সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পক্ষেই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সভা সংক্ষিপ্ত করা হয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সভা এটি।
সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমএআর/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)