দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় জেল হাজতে আটক তাদেরই মেয়ে ঐশী রহমানের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে ঐশী যাতে ও-লেভেল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তার কাছে সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রবিবার ঐশীর আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা ও প্রকাশ বিশ্বাস ঐশীর ও-লেভেল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কারণ দেখিয়ে করা জামিন আবেদনের উপর ঐশীর উপস্থিতিতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ আগস্ট মাহফুজুর রহমান(৪৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান(৪২) খুনের ঘটনায় রিমান্ড শেষে মেয়ে ঐশী রহমানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে সন্ধ্যায় প্রক্রিয়া শেষে আদালত থেকে মেয়ে ঐশী রহমান ও গৃহপরিচারিকা খাদিজা খাতুন সুমীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

২৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হান্নান ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের আবেদনক্রমে ঐশীকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর চামেলীবাগের বাসা নম্বর ২, বিল্ডিং-চামেলী, ৬তলা, ফ্ল্যাট বি-৫ নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মা-বাবা খুন হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায় ঐশী।

১৭ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে পল্টন থানায় এসে সে নিজের পরিচয় দিয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দেয়।

মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা সে সময়ে সাংবাদিকদেরকে জানান, ঐশী মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতো। এমনকি অনেক রাতে বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরতো ঐশী। বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সে স্বীকার করেছে। আর এ কারণে তার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতেন, তার বখাটেপনায় বাধা দিতেন।বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে বাসা থেকেও বের হতে দিত না।

ঐশী ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)