বান্দরবানে প্রতিমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ৮৬ তোরণ
বান্দরবান সংবাদদাতা : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের আগমন ঘিরে বান্দরবানে ৮৬টি তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। সাজসজ্জা চলছে জনসভাস্থল স্থানীয় রাজার মাঠসহ বান্দরবান শহরজুড়ে। দীর্ঘ ৩৭ বছরের প্রতীক্ষার পর বান্দরবানবাসী মন্ত্রী পেয়েছেন। মন্ত্রীর কাছে তাদের প্রত্যাশাও অনেক।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বান্দরবান জেলা সভানেত্রী ডনাই প্রু নেলী বলেছেন, দীর্ঘ ২৩ বছরের সংসদ সদস্যের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। তাঁতবস্ত্র ও হস্তশিল্প সম্প্রসারণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে যুক্ত নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নেবেন। পার্বত্যাঞ্চলে নারী নির্যাতন বন্ধে এবং মানবাধিক সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেবেন নবনিযুক্ত মন্ত্রী।
বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি লক্ষ্মীপদ দাশ বলেছেন, ৩৭ বছরের দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার পর প্রতীক্ষিত মন্ত্রী পেয়েছেন বান্দরবানবাসী। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।
বান্দরবান সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর তানজামা লুসাই বলেছেন, পাহাড়ে আলো ছড়াতে পার্বত্যবাসীর কল্যাণে বান্দরবানে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের প্রচেষ্টা চালাবেন। শিক্ষায় অনগ্রসর পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন, এটাই প্রত্যাশা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইসলাম বেবী বলেছেন, বীর বাহাদুরকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী করে বান্দরবানবাসীর দীর্ঘ ৩৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি বান্দরবানবাসী কৃতজ্ঞ। বীর বাহাদুরের আগমন ঘিরে বান্দরবানে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দোহাজারী থেকে বান্দরবান রাজার মাঠ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৮৬ তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে বান্দরবানের বাসিন্দা অং শৈ প্রু চৌধুরী খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর বান্দরবানের বীর বাহাদুর উ শৈ সিং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/এএস/শাহ/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)