কুবি সংবাদদাতা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০৭ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

সদর দক্ষিণ থানার এস আই খাদেমুল বাহার বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাত নেতা ও অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় এ মামলা দায়ের করেন।

তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও কর্তব্য পালনে পুলিশকে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা সাতজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ শাহরিয়া মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন, মহি উদ্দিন মাহী, মনিরুজ্জামান, এমরান আলী ও মোজাম্মেল হক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শনিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ছাত্রদলের মিছিল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মিছিল লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ছাত্রলীগ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পিছু হটে ছাত্রদল।

সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় এক ছাত্রলীগ কর্মী। এ ছাড়াও ৫ পুলিশসহ আহত হয় ১১ জন। ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ ছাত্রদল নিয়ন্ত্রিত দুটি মেসে ভাঙচুর চালায়।

ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ শাহরিয়া মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনার মূল হোতাদের বাঁচিয়ে দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে অপরাজনীতির অংশ। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গায়ে পড়ে হামলা চালায় ছাত্রদল। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে আমাদের কর্মী। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি জানায়, ‘শনিবারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। তবে পুলিশ কেন গুলি চালিয়েছিল তা জানা যায়নি।’

সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তরিক ছিলাম কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও কর্তব্য পালনে পুলিশকে বাধা দেওয়ায় মামলা করা হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)