‘ট্রাইব্যুনালে দাখিলকৃত ডকুমেন্ট সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ট্রাইব্যুনালে ইউসুফের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত ডকুমেন্টের ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই বলে জানান ডকুমেন্ট দাখিল করা জব্দ তালিকার সাক্ষী এজাব উদ্দিন মিয়া। রবিবার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের জেরার জবাবে তিনি একথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, জব্দকৃত যে সব ডকুমেন্ট আমি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছি সে সবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
সাক্ষ্যে এজাবউদ্দিন মিয়া বলেন, ইউসুফের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাংলা একাডেমিতে যান। একাডেমির গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংরক্ষিত বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং ও জব্দকৃত ডকুমেন্ট আমি তার কাছে উপস্থাপন করি।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ২০তম (জব্দ তালিকার সাক্ষী) ও ২১তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার ২১তম সাক্ষীকে জেরা ও পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
রবিবার দুই সদস্যের(চেয়ারম্যান অনুপস্থিত) ট্রাইব্যুনাল-২ এ প্রথমে জবানবন্দি দেন জব্দ তালিকার সাক্ষী ও বাংলা একাডেমির সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া। পরে ঘটনার সমর্থন করে সাক্ষ্য দেন ২১তম সাক্ষী দিলীপ দাস। এজাব উদ্দিন মিয়ার জেরা সম্পন্ন করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
ইউসুফের অনুপস্থিতিতে রবিবার প্রথম দিনের মতো মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউসুফকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল।
২১তম সাক্ষী দিলীপ দাস জবানবন্দিতে বলেন, ৭১এ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ইউসুফের নেতৃত্বে খুলনা অঞ্চলে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। রাজাকাররা এলাকার বিভিন্ন স্থানে লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
আদালতে সাক্ষী বলেন, ১৩ মে আমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট সদর থানাধীন রনজিতপুরে আক্রমণ করে রাজাকারের একটি দল। এ সময় তারা গুলি করে ৫০ থেকে ৬০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর আমি প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে চলে যাই। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। দেশ স্বাধীনের পর শহীদদের স্মরণে রনজিতপুরে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সাক্ষী।
জবানবন্দি শেষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। সোমবার তাকে জেরা করবে আসামিপক্ষ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৩ অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট ইউসুফের বিচার শুরু হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এপি/এনআই/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)