দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আবাহনী ও মোহামেডান মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ২ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াই শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে মর্যাদায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মর্যাদার লড়াইয়ে জয় হয়েছে আবাহনীর। রবিবার মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে আকাশী শিবির।

ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ইউকো সামনিকের পেনাল্টি মিস; আর ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড মরিসন ওপেন নেট মিস না করলে আবাহনীর জয়ের ব্যবধান আরো বড় হতে পারতো।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অভিজাত পাড়ার দলটি গোলের দেখা পেয়েছিল ১৭ মিনিটে। আবাহনীর ডিফেন্ডার মিশুর লব ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ। সুযোগ হাত ছাড়া করেননি বক্সে দাঁড়ানো ফরোয়ার্ড মরিসন। ডানপ্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন তিনি। এর আগে ৭ মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন আবাহনীর ফুটবলাররা। বক্সের ঠিক বাইরে ওসাই মরিসনকে ফেলে দিয়েছিলেন মোহামেডানের ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার বেইবেক। এ বাধা চোখ এড়াতে পারেনি রেফারি মিজানুর রহমানের। ফ্রিকিকের নিদের্শ দিয়েছেন তিনি। পরে লাইনের উপর থেকে ইব্রাহিমের শট মোহামেডানের রক্ষণপ্রাচীরে লেগে প্রতিহত হয়। মিশুর ফিরতি প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে।

বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সাদা-কালো শিবিরের ফুটবলাররা। এ অর্ধে বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে মোহামেডানের। ৫৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মোহামেডানের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা সিদ্দিকের শট পোস্ট ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছে।

খেলার শেষ ১০ মিনিট বলের দখল ছিল আবাহনীর। ৮৬ মিনিটে বক্সে মরিসনকে ফেলে দিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম। এটা বিধিসম্মত না হওয়ায় পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছেন রেফারি। ইউকো সামনিকের নেওয়া পেনাল্টি রুখে দিয়েছেন সাদা-কালোদের গোলরক্ষক মামুন খান। পরের মিনিটে গোলরক্ষককে কাটানোর পরও ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে পারেননি মরিসন। অযথা সময় নষ্ট করে এক ডিফেন্ডারকে কাটাতে গিয়ে ফরোয়ার্ড নিশ্চিত একটি গোল থেকে আবাহনীকে বঞ্চিত করেছেন।

হারলেও দল নিয়ে আশাবাদী মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ রুই ক্যাপেলা বাতিস্তা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘হারলেও মোহামেডান অনেক ভালো খেলেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। তবে খেলোয়াড়দের কিছুটা ক্লান্ত মনে হয়েছে। বেশকটি খেলায় পয়েন্ট নষ্ট করেছে দল। তারপরও দলকে ভালো অবস্থানে নিতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বড় দল, বড় ম্যাচ। চাপ ছিল। নার্ভাসও ছিল খেলোয়াড়রা। ’

এ জয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আবাহনীর ইরানী কোচ আলী আকবর। তিনি বলেছেন, ‘টার্গেট ছিল ৩-০ গোলে জয়ের। পেনাল্টি থেকে একটি গোল মিস হয়েছে। আরেকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট না হলে লক্ষ্যপূরণ হতো। জিতলেও আমি রেফারিং নিয়ে নাখোশ। কেননা তার কিছু অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/এনআই/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)