মেহেরপুর সংবাদদাতা : মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (৩৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

নিহত তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ছমির উদ্দীনের ছেলে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোমবার রাত পৌনে ৩টায় জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কাশেম। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি গুলিবিদ্ধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে জামায়াত নেতা তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে নিয়ে বন্দর এলাকায় জামায়াতের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক নেতা আব্দুল মতিনকে ধরার জন্য গেলে ওতপেতে থাকা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। প্রায় আধঘণ্টা উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ের মাঝখানে পড়ে সে (তারিক) গুলিবিদ্ধ হয়। তারিককে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ককটেল উদ্ধার করেছে বলে ওসি রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন। তবে কী কী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তা তিনি জানাননি।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, হরতাল-অবরোধের সময় পুলিশের ওপর হামলা, সড়কের পাশে সরকারি গাছ কাটা, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা কয়েকটি মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে (৩৫) রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মেহেরপুর ইসলামী ব্যাংক এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/এমআর/এএস/জেএম/শাহ/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)