এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদের অনুসন্ধানে বিব্রত নয় দুদক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে একটুও বিব্রত নয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বরং শিগগিরই অভিযোগ অনুসন্ধানের কাজে মাঠে নামবে কমিশনের অনুসন্ধান দল।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে দুদক সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ সব কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা সকলেই প্রভাবশালী। তবে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামতে দুদক একটুও বিব্রত নয়।’
তিনি বলেন, ‘দুদক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করে। আমরা যদি কোনো প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি, তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেই মামলা দায়ের করব। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো আমরা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছি। আশা করি অতি শিগগরই আমরা অনুসন্ধান শুরু করব।’
দুদকের দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গে ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। তবে আদালত যদি দুদককে কোনো নির্দেশ দেয়, তাহলে দুদক তা পালন করবে।’
ব্রিফ্রিংয়ে এক লিখিত বক্তব্যে সচিব জানান, নভেম্বর মাসে ৬১৬টি অভিযোগ দুদকে এসেছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে আটটি প্রতিবেদন অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট নয় হাজার ৫৪৪টি অভিযোগ দুদকে এসেছে। এর মধ্যে ১৪৬টি প্রতিবেদন অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
নভেম্বর মাসে ৪১টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সব মামলায় ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জন সরকারি চাকরিজীবী, চার জন ব্যবসায়ী, আট জন অন্যান্য ও দুই জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এছাড়া নভেম্বরে ২৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে আট মামলায় আসামিদের সাজা এবং ১৭ মামলায় আসামিদের খালাস হয়েছে।
ব্রিফ্রিংয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/ এমডি/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)