দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মোনোয়ী শহরে গেলে এক নারীর জয়জয়কার অবস্থা দেখতে পাবেন আপনি। কারণ মেয়র থেকে শুরু করে সর্বেসর্বা এলসী এইলার নামে এক নারী। তবে সর্বেস্বর্বা না হয়েও উপায় নেই তার। কারণ ৭৭ বছর বয়সী এইলার মোনোয়ী শহরটির একমাত্র বাসিন্দা।

২০১২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পূর্বদিকে অবস্থিত শহরটির মোট জনসংখ্যা মাত্র একজন।

তবে ২০০০ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোনোয়ীর জনসংখ্যা দ্বিগুণ ছিল। অর্থাৎ সেখানে দুইজন মানুষ বাস করতেন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিটি ছিলেন এইলারের স্বামী রুডি। ২০০৪ সালে তিনি মারা যাওয়ার পথ থেকে এইলার একাই বাস করছেন সেখানে।

এইলার শহরটির একমাত্র সরাইখানা মোনোয়ী ট্রেভার্নের কাছেই একটি মোবাইলে হোমে থাকেন। শহরের একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোনোয়ী ট্রেভার্নের মালিকও এইলার। এইলার ও তার স্বামী ১৯৭১ সালে এই জায়গা কিনেছিলেন। শহরের গ্রন্থাগারের দেখভালও করেন এইলার। এইলারের স্বামী রুডি ভীষণ বই বইপাগল ছিলেন। তাই পাঁচ হাজার বই দিয়ে লাইব্রেরিটি সাজিয়েছিলেন তিনি।

শহরটির কেরানী, কোষাধ্যক্ষ, মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শহরটিকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি নেই তার।

তিনি নিজেও অবশ্য স্বীকার করলেন যে শহরটির সর্বেসর্বা তিনি। তিনি বলেন, ‘আমিই এখনকার সব। এখানে কোনো নির্বাচনের প্রয়োজনও নেই। কারণ ভোট দেওয়ার জন্যও তো শুধু আমিই থাকব।’

স্বামীর মৃত্যুর পর শহরের একমাত্র বাসিন্দা হওয়ায় বেশ আলোচনায় আসেন এইলার। তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। বিভিন্ন টকশোতেও হয়েছে আলোচনা। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরাও তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।

সহসাই শহরের জনসংখ্যা বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন এইলার। তবে একা থেকেও কোনো খেদ নেই এইলারের মনে। স্বামীর মৃত্যুর পর তাই শহরটিতে একা থাকাই বেছে নেন তিনি। তার কথা হল, ‘কোথায় যাব আমি? এটাই আমার বাড়ি।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/আরকে/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)