দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চোধুরী ও বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মুখোমুখি অবস্থান ক্রীড়াঙ্গনে সবার কাছেই স্পষ্ট। তবে উভয়েই নির্বাচনের পক্ষে।

বর্তমান সভাপতি পাপনের মতে, নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ আগামী ১০ অক্টোবর ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হোক। কিন্তু তাতে অভিযোগ তুলে নির্বাচন পেছানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন।

যদিও সাবের হোসেনের জন্য সুখবর আসেনি আদালতপাড়া থেকে। তার আবেদনে সাড়া দেননি আদালত। বিসিবি নির্বাচনের তারিখ পেছানোর আবেদন করলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ। তাই নির্ধারিত দিনে নির্বাচন আয়োজনে আর বাধা থাকল না।

আইনি লড়াইয়ে বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও মেহেদী হাসান চৌধুরী। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে আদালতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ‍মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক। অপরদিকে বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন এএম আমিন উদ্দিন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগেই মানসিকভাবে এগিয়ে গেলেন পাপন। কারণ আইনি লড়াইয়ে নির্বাচন পেছানোর জোর চেষ্টা করেও হেরেছেন সাবের হোসেন। একইসঙ্গে মাঠের লড়াইয়েও সাবেরের চেয়ে এগিয়ে আছেন পাপন। এরই মধ্যে বিসিবির ২৩টি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাপনের প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা।

আর আদালতপাড়ায় থাকা সাবের এখনো জমা দেননি প্যানেলের নাম। আইনি লড়াইয়ে সুবিধা করতে না পারলেও ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে অভিজ্ঞ সাবের নির্বাচনে কোমর বেঁধেই নামবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। আর নির্বাচনী লড়াইয়ে কে হবেন বিসিবির নতুন সভাপতি, সেটা আগামী ১০ অক্টোবর নির্ধারণ করবেন কাউন্সিলররা।

(দিরিপোর্ট২৪/সিজি/এএস/জেএম/অক্টোবর ০৭, ২০১৩)