দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ম্যাচের আগে জার্সি নিয়ে ঝামেলা। সুবজের পরিবর্তে লাল জার্সি পরে এসে ম্যাচ কমিশনারের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল টিম বিজেএমসিকে। এ জার্সিই কি ভাগ্য বদলে দিল সার্ভিসেস দলের? সোমবার লাল জার্সিতেই উত্তর বারিধারার বিপক্ষে রীতিমতো গোল উৎসবে মেতেছিলেন বিজেএমসির ফুটবলারা। জিতেছে ৭-০ গোলে। পেশাদার লিগে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

পেশাদার লিগে এর আগে ২০০৭ সালে আবাহনী একই ব্যবধানে হারিয়েছিল রহমতগঞ্জকে। রেকর্ড গোল ব্যবধানে জয়ের কৃতিত্ব বেশি দেখিয়েছে আবাহনীর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান। ২০০৭ সালেই মোহামেডান ৭-০ গোলে জয় পেয়েছিল চট্টগ্রাম মোহামেডানের বিপক্ষে। এ ছাড়া মোহামেডান ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে এবং ২০১০ সালে আরামবাগ ও শুকতারার বিপক্ষে ৭-০ গোলে জয় পেয়েছিল। ২০০৮ সালে ফরাশগঞ্জ একই ব্যবধানে জয় পেয়েছিল খুলনা আবাহনীর বিপক্ষে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯ মিনিটে ২ হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন পেশাদার লিগের নতুন দল উত্তর বারিধারার ডিফেন্ডার সাইদুর রহমান। ১০ জনের দলের বিপক্ষে কিভাবে সুবিধা আদায় করে নিতে হয় এটা ভালো ভাবেই দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেএমসির ফুটবলাররা। ২৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছিল ফেভারিটরা। প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় রনির কাছ থেকে বল পেয়ে বারিধারার জাল কাঁপিয়েছেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার স্যামসন ইলিয়াসু।

৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। ২ মিনিট পরই বক্সের বাইরে থেকে আবদুল্লাহ পারভেজের দুর্দান্ত এক শট ব্যবধান আরো বেড়েছে (৩-০)। ৪০ মিনিটে সজীবের হেড জালে জড়ালে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বিজেএমসি।

বিরতির পর ইসলাইল বাঙ্গুরা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেছেন। ৯০ মিনিটে স্যামসন ইলিয়াসু ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করলে ৬-০ গোলে এগিয়েছে বিজেএমসি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে উত্তর বারিধারার পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন সজীব।

ম্যাচ শেষে বিজেএমসির সহকারী কোচ আলী আকবর নাসির বলেছেন, ‘লক্ষ্য ছিল জয় তা পূরণ হয়েছে। প্রতিপক্ষ ১০ জন হয়ে যাওয়ায় জয় পাওয়া সহজ হয়ে যায়। তবে বারিধারার এতগুলো গোল খাওয়া আমাকে অবাক করেছে। ১০ জন নিয়েও অনেক দল জেতে, ড্র করে বা হারলেও এত বেশি গোল হজম করে না।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে দলের শৃঙ্খলা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এখন অধিনায়ক শুভ্র ও বাঙ্গুরা খেলায় ফিরেছেন। মনে হচ্ছে শৃঙ্খলা ধীরে ধীরে আবারও ফিরে আসছে। তবে স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ইকাঙ্গা ক্যামেরুন চলে যাওয়াতে ওর সার্ভিস এখন পাচ্ছি না। বারিধারা ৫ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি ডিফেন্স ভেঙ্গে গোল করতে। সেটাতে আমরা সফল।’

অন্যদিকে বারিধারার সহকারী কোচ মাহবুব আলী মানিক বলেছেন, ‘আমরা শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচে খুব ভাল খেলেছি। এ ম্যাচেও খেলতাম। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের লাল কার্ড প্রাপ্তি দলের শক্তি অনেক কমিয়ে দেয়। তা ছাড়া ম্যাচ চলাকালে গোলরক্ষক ওসমান গনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বারিধারা থেকে স্টেডিয়ামে আসতে গিয়ে খেলোয়াড়রা জ্যামে দীর্ঘক্ষণ আটকা ছিল। এটা ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। সবমিলিয়ে এগুলোই ছিল আমাদের হারের কারণ।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/এনআই/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)