‘আসাদের স্বপ্ন পূরণে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে’
ঢাবি প্রতিবেদক : জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে গিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। আজো তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। দেশে সংবিধান রক্ষার নামে নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির অভ্যূত্থান ঘটেছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আসাদের স্বপ্ন পুরণ করতে বাম রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। সকল বাম সংগঠনগুলোকে একত্রিত হয়ে বাম ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সোমবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। আসাদ দিবস উপলক্ষে ‘সাম্রারাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদ ও শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিকশক্তির এক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট।
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘আসাদের মৃত্যু ’৭৯ এর গণঅভ্যূত্থানকে ত্বরান্বিত ও মুক্তিযুদ্ধের পটভুমি তৈরী করেছিল। তার মৃত্যুতে স্বশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। কিন্তু আজো তার চেতনার সামান্য বাস্তবায়িত হয়নি। জনগণের প্রত্যাশাকে ভুলুন্ঠিত করে ৫ জানুয়ারি তামাশার ও কলঙ্কের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও হয়নি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মুখে কুঠারাঘাত করে মুক্তিযুদ্ধের জয়গান করা হচ্ছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সবচেয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা। বিএনপি-আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করে বাম ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন পরিচালনা করছে। ভারতের সমর্থনেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বামরা আজ অধপতিত হচ্ছে। ভারতের সহযোগিতায় যে ফ্যাসিবাদের উত্থান তা জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।’
ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নাননু বলেন, ‘দেশের বর্তমান সমস্যা সমাধান করতে বাম শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। দুই দল দেশে ক্ষমতার কারণে জনগণকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ভারত যা চেয়েছে দেশে তাই হচ্ছে। সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে চাই।’
সংগঠনটির সভাপতি হায়দার আনোয়ার খান জুনোর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ সংস্কৃতি ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মহসিন শস্ত্রপাণি, বতর্মান সহ-সভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন, জাকির হোসেন, ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এসবি/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)