আইসিসির উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকার না
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইসিসির উদ্যোগে চলছে ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন আনার মহাপরিকল্পনা। যেখানে প্রধান ভাবা হচ্ছে ৩ দেশকে। সেখানেই যত ক্ষোভ ক্রিকেট বর্তমান টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্য সানডে টাইমস তেমন তথ্যই প্রকাশ করে জট-জটিলতা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ ৩টি দেশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রাক্কলিত সিদ্ধান্তটা নিশ্চিতভাবেই মেনে নিতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রধানতম কারণ পারফরম্যান্স নয়, বরং ক্রিকেট বাণিজ্যায়ণ করা। সানডে টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত আইসিসিকে হাইজ্যাক করার পরিকল্পনা করেছে। একই সঙ্গে এফটিপিকে নিজেদের সুবিধামতো কাজে লাগানোর পাঁয়তারা করছে।’
যার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা চরম বিরোধিতা করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা মনে করছে; তাদের মতো এক নাম্বার টেস্ট দলসহ আইসিসির অন্য সদস্যদের খেলার সামর্থ্য ও আয়ের সম্ভাবনা ধর্তব্যে নেওয়া হয়নি। আইসিসি এ প্রস্তাবনা গ্রহণ করলে, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের জন্য হবে দুঃখজনক। তাদের খেলতে হতে পারে দ্বিতীয়স্তরের টেস্টে! ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা মনে করছে এ প্রস্তাবনা অসম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ফলে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা।
২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় আইসিসির কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভা। সেই সভায় অনেক কিছুই জানা যাবে। সেখানে আনা হতে পারে নানা প্রস্তাবনা। এর মধ্যে ৪ সদস্যের এক্সকো গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থায়ী সদস্য হিসেবে এক্সকোই হবে আইসিসির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ওই তালিকায় থাকছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী আয়োজিত হবে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট। বড়দের টেস্ট; আর ছোটদের টেস্ট।
নতুন প্রস্তাব গৃহীত হলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের অবনমন হবে না। আর আইসিসির এফটিপি থাকবে না। যেকোনো সিরিজ হবে শুধু দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে। ক্রিকেটকে একেবারে ওদের করে দেওয়ার যে মহাপরিকল্পনা চলছে; তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষুব্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা। ধারনা করা হচ্ছে অচিরেই সেখানে যোগ দেবে অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশও। বাধবে আরো জটিলতা।
অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আইসিসির বর্তমান প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের বিরুদ্ধে। চলছে তদন্ত প্রক্রিয়া। ফলে এ মুহূর্তে আইসিসি তার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে ওই সভায় বিষয়টি আলোচ্যসূচি আকারে উত্থাপিত হতে পারে।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/জানুয়ারি ২০, ২০১৪)