সবচেয়ে বেশি কিশোরী মা বাংলাদেশে
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : প্রতিবছর বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২ লাখ বিয়ে হয়। এর মধ্যে এক লাখ ৭০ হাজার পাত্রীর বয়স ১৫ বছরেরও কম। সারা পৃথিবীতে বছরে ৭০ হাজার কিশোরী মারা যায় গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে মারা যায় প্রায় দুই হাজার কিশোরী। ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের (ইউএনএফপিএ) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন ২০১৩’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জনসংখ্যার সর্বশেষ অবস্থা উঠে এসেছে।
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রধান কর্মকর্তা প্রনচাই সুচিতা বলেন, ইউএনএফপিএ জনসংখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৩ সালের প্রতিবেদনের বিষয় ‘কৈশোরে মাতৃত্ব’। তিনি বলেন, কিশোরী বয়সে মা হওয়া সারা পৃথিবীরই সমস্যা। এশিয়ার মধ্যে কিশোরী গর্ভধারণের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি।
১১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী কৈশোরে মাতৃত্বের বোঝা, মাতৃত্বের কারণে কিশোরীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষা ও উৎপাদনশীলতার ওপর এর প্রভাব, কিশোরীদের রক্ষায় পৃথিবীর কোথায় উল্লেখযোগ্য কী কাজ হচ্ছে, করণীয় বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীতে বছরে ৭০ হাজার কিশোরী মারা যায় গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের এ দেশিয় প্রতিনিধি ওবায়দুর রব বলেন, বাংলাদেশে এই সংখ্যা দুই হাজার।
‘কৈশোরে মাতৃত্ব : কৈশোরে গর্ভধারণ, প্রতিবন্ধকতা ও তা প্রতিরোধ’ শিরোনামে প্রতিবেদনের শুরুতে ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক বাবাটুন্ডে অসোতিমেহিন বলেছেন, যখন একজন কিশোরী গর্ভবতী হয়, তখন নাটকীয়ভাবে তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বদলে যায়। ভালো কিছু হওয়া তার জন্য দুর্লভ হয়ে পড়ে। তার শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়। তার কাজের সম্ভাবনা উবে যায়। ওই কিশোরীর দারিদ্র্য, বাদ পড়া ও পরনির্ভরশীলতার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটিতে পৌঁছলে তা স্থিতিশীল হবে। এ অবস্থার সৃষ্টি হবে আরও প্রায় ৪০ বছর পর, অর্থাৎ ২০৫০ নাল নাগাদ। তখন বছরে জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে।
ওবায়দুর রব বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে। অন্যদিকে শিশুসহ প্রায় ১০ লাখ লোক মারা যায়। প্রতিবছর ২০ লাখ লোক জনসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই অবস্থা আরও প্রায় ৪০ বছর চলবে। এরপর জন্ম ও মৃত্যুর সংখ্যা সমান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ৩১, ২০১৩)