দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে কমিশন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান দ্য রিপোর্টকে জানান, বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বহুদিন আগ থেকেই অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমরা শুনে আসছি। অবশেষে কমিশন তার সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো বিষয় জড়িত নয় বলেও জানান তিনি।

দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের অবৈদ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চলতি মাসের শুরুতে দুদকে আসে। অভিযোগটি দুদকের নিজস্ব সূত্রে যাচাই করা হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ছাড়া দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দ্বায়িত্ব দিয়েছে কমিশন।

সূত্র আরও জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি সম্প্রতি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায় দিয়েছেন তৎকালীন বিচারক মোতাহার হোসেন। ওই সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিসেম্বর মাসে তিনি অবসরে যান।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এপি/আরকে/জানুয়ারি ২১, ২০১৪)