দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রেকর্ডপত্র জব্দ প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদকের কাছে সরবরাহের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনূর রশীদ দ্য রিপোর্টকে জানান, ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগে মওদুদ আহম্মদ ও তার ভাই মনজুর আহম্মদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের দেওয়া ওই চিঠিতে সরকারি পরিত্যাক্ত সম্পত্তির তালিকা এবং ওই বাড়ির বিক্রির ডিড সংক্রান্ত সকল নথি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ ও তার স্বামী মো. এহসান পাকিস্থানী নাগরিক বিবেচিত হওয়ায় এবং স্বাধীনতার পূর্বে এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় গুলশানের অন্যান্য প্লটের ন্যায় এন. ডাব্লিউ (এইচ), হোল্ডিং নং-১৫৬ বাড়িটি পরিত্যাক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। যা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহম্মদ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ে সরকারি দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিজে এবং যুক্তরাজ্যের স্থায়ী নাগরিক তার সহোদর মনজুর আহম্মদের নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ওই সম্পত্তি ভোগদখলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

গুলশান আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সরকারি এক বিঘা ১৩ কাঠা ১৪ ছটাক জমি আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বাড়িটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমএআর/আরকে/জানুয়ারি ২১, ২০১৪)