দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশকে লাভজনক করতে ১০ বছর মেয়াদী ‘বিজনেস প্ল্যান’ করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার ‘নন কনসেশনাল লোন’ সম্পর্কিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বৈঠকে বিমানের জন্য কেনা দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংক থেকে বিমান বাংলাদেশ এর অনুকূলে ২৯ কোটি ডলার ‘নন কনসেশনাল’ ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়।

ক্রমাগত লোকসান দেওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশকে ‘জন্ম থেকেই অপদার্থ প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তবে এর জন্য তারা হান্ড্রেড পার্সেন্ট রেসপনসিবল নয়, আমরাও রেসপনসিবল। কারণ আমরা তাদের সেই সামর্থ্য দেইনি, শুরু থেকেই দেইনি। এখন তাদের কাছ থেকে রাতারাতি মুনাফা প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। এতে সময় লাগবে।

রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায় বেশ কম হয়েছে।

এর জন্য ‘গত ২ মাসের অর্থনৈতিক ভোগান্তিকে দায়ী করে তিনি বলেন, এ ছাড়া গত বছরের রাজস্ব আদায়ের সাফল্যের দিক বিবেচনায় নিয়ে এবারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মহল জোর তদবির চালাচ্ছে-এটা সত্যি কিনা’ সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ইট ইজ ট্রু। এটা আমি আন-অফিশিয়ালি শুনেছি।’

‘নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু’

পদ্মা সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবারও বলেন, নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মিত হবে। তবে কেউ যদি আসতে চায়, তা হলে আসতে পারে। সরকার নিজে থেকে কোনো অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সন্ধান করছে না এবং এ মুহূর্তে এটি নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনাও চলছে না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, তবে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের দরপত্র মূল্যায়নের জন্য অক্টোবরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখনও এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে তারা আবার এ প্রকল্পে যুক্ত হতে পারে বাইরে এমন একটি কানাঘুষা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণ শুরু করা সম্ভব হবে না। তবে অন্য কাজগুলো চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নদী শাসনের দরপত্রটি চূড়ান্ত করা হবে।

এ ছাড়া পদ্মা সেতুর তহবিল থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতার জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে জানান মুহিত।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/সা/জানুয়ারি ২১, ২০১৪)