ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : তরুণ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও র‌্যাম্প মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছে তার। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার বর্তমান ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত?

পিয়া : অবশ্যই চলচ্চিত্র। আশিকুর রহমানের ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ চলচ্চিত্রের কাজ শেষ। আর রিকিয়া মাসুদের ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’ এবং আহমেদ আলী মন্ডলের ‘প্রবাসীর প্রেম’ চলচ্চিত্রের কিছুটা শুটিং বাকি আছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাঝে শুটিং বন্ধ ছিল। আমি তো ভেবেছি, দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। আসলে মানুষ ভাবছে, সরকার যেই হোক। কাজ তো পিছিয়ে থাকতে পারে না।

দ্য রিপোর্ট : নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন না?

পিয়া : দুইটি চলচ্চিত্রে সাইন করেছি। নাম বলতে চাইছি না। দু’টিই অ্যাকশন চলচ্চিত্র। একটি আমার ওপর আরেকটি নায়ক নির্ভর অ্যাকশন। মার্চ-এপ্রিলে শুটিং শুরু হতে পারে।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্র সাইন করার বেলায় কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন?

পিয়া : অবশ্যই গল্প। গল্পে কী আছে? আমার চরিত্র কেমন? চরিত্রে কোনো ভ্যারিয়েশন আছে কিনা? চরিত্রটিকে কোন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে?- এ সব বিষয়। আর আমি তো নতুন। কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব সেটা ঠিক করার পর্যায় এখনও আমার আসেনি। তাই গল্পই আমার কাছে মুখ্য।

দ্য রিপোর্ট : কি ধরনের গল্পে কাজ করতে চান?

পিয়া : ব্যতিক্রম থাকতে হবে। প্রেম-ভালবাসা নিয়ে এ দেশে প্রচুর কাজ হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করা উচিত। আরও নতুন কী করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।

দ্য রিপোর্ট : আপনার মতো অনেক নতুন মুখ চলচ্চিত্রে আসছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

পিয়া : দেখুন, আমাদের বেইজ আছে। চলচ্চিত্রে আসার আগে অনেক গ্রুমিং করেছি। নাচ থেকে শুরু করে অনেক কিছুই শিখেছি। কিন্তু এমনও অনেক নতুন আসছে বা অনেকে নিয়ে এসে নায়ক-নায়িকা বানাচ্ছে, যাদের কোনো বেইজ নেই। তারা শখ করে এসেছে। আরে, চলচ্চিত্র তো শখের জায়গা না। ধরুন, আমি যদি একটি ফ্যাশন শো ছেড়ে দিই। তবে কিছু হবে না। কিন্তু চলচ্চিত্র তো মাঝপথে ছেড়ে দিতে পারি না।

দ্য রিপোর্ট : র‌্যাম্পে কি কাজ করছেন না?

পিয়া : না। এখন করাই হচ্ছে না। এতদিন কাজ করার পর এখনও টাকা-পয়সা বাড়ায় না। আবার ভালো শো পাই না। সে দিন এক টেলিকম প্রতিষ্ঠানের শো করতে ডেকেছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি ধরনের? বলল, এন্টারটেইনমেন্ট শো। আমি রাজি হইনি। করলে গ্ল্যামার শো করব। র‌্যাম্পে তো শুধু আমার চেহারা দেখতে আসবে না। পণ্যের সঠিক ব্যবহারও থাকতে হবে।

দ্য রিপোর্ট : তা হলে তো র‌্যাম্পের অবস্থা খুব খারাপ?

পিয়া : হ্যাঁ। খুবই শোচনীয়। একে তো ভালো মডেল নেই। তারপরও যারা নতুন আসছে, তাদের মধ্যে ফ্যাশন নেই। সবচেয়ে বড় কথা, অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ। কোনো ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট নেই। ধরুন, একজন র‌্যাম্পে কাজ করে যদি ঠিকমত টাকা-পয়সা না পায়, তবে সে কেন কাজ করবে? এই অবস্থা দেখে আমি তো মিডিয়া ছাড়তে চেয়েছিলাম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করব, তখনও ভাবিনি। যা হোক, থেকে গেলাম।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এমসি/সা/জানুয়ারি ২১, ২০১৪)