দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ভারতের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

ইন্দিরা ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এলাহাবাদে ভারতের প্রভাবশালী নেহরু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা মতিলাল নেহরু ছিলেন প্রথম সারির একজন কংগ্রেস নেতা। তার বাবা জওহরলাল নেহরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা পরিবারের পরবর্তী দুই প্রজম্ম বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।

তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে ইন্দিরা গান্ধী বাবার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ তিনি ১৯৫০ সালে থেকে শুরু করেন জওহরলাল নেহরুর অফিস সহকারীর কাজ। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনারা অভিযান চালায়৷ সে ঘটনার রেশ ধরে একই বছরের ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

ইংল্যান্ডে পড়াকালীন সময়ে ইন্দিরার পরিচয় হয় সাংবাদিক ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে৷ ১৯৪২ সালে তারা বিয়ে করেন৷ তাদের দুই ছেলে। এক ছেলে সঞ্জয় গান্ধী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। অপরজন ভারতের এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ৩১, ২০১৩)