দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ৬২ হাজার পরিবারের বসবাস উপযোগী কয়েকটি সুউচ্চ আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মঙ্গলবার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের কাউকে অভিবাসিত হতে হবে না। এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে ইতোমধ্যে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোনো লোক ভূমিহীন হয়ে পড়ে নির্মিত ভবনে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। রাজউক এ সব ভবন নির্মাণ করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

ছয় হাজার ১৫০ একর এলাকার পূর্বাচলকে পরিকল্পিত আধুনিক ঢাকা শহরে রূপ দেওয়া হবে জানিয়ে পূর্তমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল প্রকল্প এলাকা নির্মাণে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় জলপ্রবাহের স্বাভাবিক গতিধারাকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো নদী, খাল বা জলপ্রবাহের ছোট খাল ভরাট করা যাবে না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীকে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। কাজের অগ্রগতিতে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় জানানো হয় যে, প্রকল্প এলাকার গাজীপুর অংশে একটি গজারি বন রয়েছে। বনের এ অংশটুকু অপরিবর্তত রাখা হয়েছে। একে আরও পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়াও প্রকল্প এলাকায় পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপন করা হবে।

মন্ত্রী পূর্বাচলের বোয়ালিয়া খাল, বালুনদী ব্রিজ, ১৬, ১৭, ২২, ২৩ নম্বর সেক্টরসহ বেশকিছু নির্মাণাধীন ব্রিজ পরিদর্শন করেন।

এর আগে মন্ত্রী বারিধারার মাদানি এভিন্যু থেকে পূর্বদিকে বালুনদী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ রাস্তা নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে দূর হবে এবং পূর্ব-পশ্চিম দিকে যানবাহন চলাচল সহজ হবে বলে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জানানো হয়, সরকারের নিজস্ব অর্থে এ রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে রাস্তার ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ রাস্তাটি পরে পূর্বাচল প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

পরিদর্শনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, রাজউক চেয়ারম্যান নূরুল হুদাসহ রাজউকের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এসবি/আরকে/জানুয়ারি ২১, ২০১৪)