বিচারকের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ২ কর্মচারীকে দুদকে তলব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে বুধবার সকালে ওই দুই কর্মচারীকে তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদ এ নোটিশ করেছেন। নোটিশে ওই দুই কর্মচারীকে বৃহস্পতিবার দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
এরা হলেন- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর স্টেনোগ্রাফার মো. আবু হাসান ও ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর স্টেনোগ্রাফার মো. নুরুল ইসলাম।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নোটিশের বিষয়টি দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনিদিষ্ট অভিযোগ চলতি মাসের শুরুতে দুদকে আসে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করার পর ২০ জানুয়ারি বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি সম্প্রতি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে ৫০ বিঘা জমি কিনেছেন।
২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। গত বছরের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায় দিয়েছেন তৎকালীন বিচারক মোতাহার হোসেন। ওই সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমসি/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)